টাকা মাটি, মাটি...

সময়ঃ ৮ই নভেম্বর, ২০১৬, রাত ৮টা -

আজ রাত ১২টার পর থেকে হঠাৎই ৫০০ আর ১০০০ টাকার বড় বড় নোটগুলো সাদা কাগজ হয়ে গেল। দেশের যতো চোর, ছ্যাঁচোড় আর কালা-ধনের কারবারিদের মাথায় হাত। মোদীভাই একি করলেন! কাকপক্ষীতে ঘুণাক্ষরে জানতেও পারলো না! দশভরি সোনার চেন আর বি-এম-ডব্লু নিয়ে ঘুরে বেড়ানো টাকার কুমীরদের ঘুম ছুটে গেল। সিন্দুকে গুছিয়ে রাখা তাড়া তাড়া কড়কড়ে পাঁচশো-হাজার টাকার নোটগুলো কয়েক ঘন্টায় স্রেফ হাতমোছার ন্যাপকিন কিংবা ছোলা-বাদামের ঠোঙা হয়ে গেল। 

স্ফুলিঙ্গ

তখন সবে সন্ধ্যা হয়েছে। ইন্দ্রপ্রস্থ গ্রামের শেষ প্রান্তে দিগন্ত বিস্তৃত এই জঙ্গলটা বেশ বড় আর গভীর। যত দিন গেছে ততই বাসিন্দার সংখ্যা বেড়েছে। তাই জঙ্গলের আয়তন কমছে। মানুষজন আসে না বললে ভুল হবে, তবে পারতপক্ষে এড়িয়ে চলে। কারণটা আর কিছুই না। জঙ্গলে মধ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলবে না তো মানুষেররাজত্ব চলবে! কিন্তু সেটা ওই বড়-সড় মাথাওয়ালা, বুদ্ধির ঢেঁকি মানুষগুলোকে কে বোঝাতে যাবে?

আজ এখানে একটা জরুরি সভা বসেছে। গুপ্ত মন্ত্রণাকক্ষে। বেশ কিছুদিন ধরেই জঙ্গলের রাজত্বে গোলমাল লেগেই থাকে। বনবিড়াল আর বুনো কুকুর - একে অন্যকে তাড়া করে, খাঁমচা-খেমচি করে, মারপিট করে। বলা নেই, কওয়া নেই, ভালুকের দল শেয়ালের বাড়িতে হামলা করে পাকা আঙ্গুর খেয়ে আসে। শেয়াল বেচারা গাছ থেকে আঙ্গুর পাড়তেও পারে না অথচ নালিশ করতেও ছাড়ে না যে ভালুক টক আঙ্গুর পেড়ে নিচ্ছে। কিন্তু সেই সব গোলমাল বেশীক্ষন স্থায়ী হয় না, বেশী দিন তো নয়ই। কারণ এই যে বনের জনগণের বুদ্ধি-শুদ্ধি চিরদিনই কম। ঠাণ্ডা জলের তাপমাত্রার থেকেও কম। তাদের নিজেদের মাথার আকার অনুযায়ী বুদ্ধি যেমন থাকার তেমনই আছে। গরু-মোষেদের কথাই ধরোশেয়ালের মাথার থেকে বড়, তাই বুদ্ধিও একটু বেশীসেইজন্য সে বনে না থেকে মানুষের সাথে থাকেমানুষের বাচ্চারা তাদের পোষে। থাকা-খাওয়ার ভাবনা নেই। তবু সারাজীবন গলায় দড়ি পরিয়ে পোষ মেনে থাকা পোষায় নামানুষেরা সব বড্ড সেয়ানাযতদিন দুধ পায়, আদর-যত্ন করেযেই বুড়িয়ে গেল, কেউ কেউ কেটে খেয়েও নেয়সেজন্য হাতি, গণ্ডার, শেয়াল এরা কেউ মানুষের কাছে থাকে না। শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি খায় আর পাড়ে অশ্বডিম্ব। মানুষের বাচ্চা পুষবে কেন?

রাজনের পদত্যাগঃ কয়েকটি ভাবনা

কলিকালের অসুরদের জ্বালায় দেশের সর্বোচ্চ সভাঘর থেকে আরো একবার ইন্দ্রের মহাপ্রস্থান হলো। এ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ পদাধিকারী এই মানুষটি এককথায় বলিউডের কোন নায়কের থেকে কিছু কম যান না। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর অর্থনৈতিক জগতে যাঁরা ঘোরাফেরা করেন, তাঁরাও এই আগাগোড়া উচ্চশিক্ষিত ও মহিমান্বিত ডিগ্রির অধিকারী মানুষটিকে একডাকে চেনেন তো বটেই, আমাদের দেশে “দালাল স্ট্রীটের রজনীকান্ত” বলেও এনার পরিচিতি কম নয় 

এই তো! এতক্ষণে সবাই হাত তুলে ফেলেছেন। ঠিক তাই, তিনি আমাদের এক ও একমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শ্রী রঘুরাম রাজন ( ট্যুইটারে লোকে ভালোবেসে বলেন R3)না চেনার কোন কারণ নেই। গত তিন বছরে দেশে-বিদেশে এমন কোন অর্থনৈতিক অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হয় নি, যেখানে প্রায় প্রতিটি সংখ্যায় কোন না কোন কারণে তাঁর ছবি অথবা বক্তব্য ছাপা হয় নি।

Misplaced


It's 7:30 in the Saturday evening. Sandip was about to switch off the laptop when the phone rang.

It was Maya.

Few months back, Amit and Maya were finally transferred back to Kolkata. Sandip and Amit had met few times after office hours on Saturdays.

But call from Maya was out of the blue. And that is after a hiatus of five long years!

‘What a surprise, Maya?’ - Sandip felt that it’s not his voice, but few missed heartbeats that converted into analog signal and traveled through telephone wire.

সাধু সাবধান!

বেশ কিছুদিন ধরে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন! যত বেশী সরকারী হাসপাতাল চালু হচ্ছে, খবরের কাগজে বেসরকারী হাসপাতাল আর নার্সিংহোমের বিজ্ঞাপনের সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে বেড়েই চলেছে। অনেকে অজানা অনেক নতুন নতুন রোগের খবর জানাচ্ছেন। কেউ কেউ বিনামূল্যে উপদেশ দিচ্ছেন। কেউ আবার শরীরে মারাত্মক ক্ষতবিক্ষত ছবি সহ ভয় দেখাতে শুরু করেছেন। রক্ত, থুতু থেকে শুরু করে হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, নাক, চোখ, গলা সবসুদ্ধু বারবার পরীক্ষা করাতে বলছেন। আর তা না হলে? আপনার এই রোগটি হবে, ওই অঙ্গটি বাদ যাবে কিংবা সেই অঙ্গটি পচে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে পরীক্ষা করালে ২০% ছাড়। একটি অঙ্গের পরীক্ষা করানোর পরে দ্বিতীয় অঙ্গের পরীক্ষায় ৫০% ছাড় পাবেন। আরো কত কি। 

মনে হয় না হটাৎ করে বেসরকারী হাসপাতাল আর নার্সিংহোমগুলি এত জনদরদী কিংবা মানবদরদী হয়ে গেল কেন? লাখ-লাখ টাকা খরচ করে দেশের বহুল প্রচারিত খবরের কাগজের পাতার পর পাতা জুড়ে প্রতিদিন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। শুধুই কি আমার-আপনার ভালোর কথা ভেবে

সারমেয় সংবাদ

দিন কয়েক আগে কলকাতার একটি আবাসনে সে কি ধুন্ধুমার কাণ্ড। একদিন রাত্রে বেশ অনেকগুলি রাস্তার কুকুরকে কে বা কারা নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। তারপর থেকে সারমেয়প্রেমীদের তুমুল বিক্ষোভ, থানায় একাধিক ডাইরি হয়েছে। আবার এদিকে কুকুরের কামড়ে ভুক্তভোগীদের পালটা বিক্ষোভ চলছে।

তবে এই রকম ঘটনা শুধুমাত্র এই কলকাতা শহরের সমস্যা নয়। এদেশের প্রতিটি ছোট-বড় শহরেই এটি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু যদি জিজ্ঞেস করা হয় মানুষের ভাল বন্ধু কে আছে? একবাক্যে সারমেয়র নাম প্রথমে আসবেই আসবে। অন্যদিকে আমাদের প্রত্যেকেরই রাস্তার কুকুরের তাড়া খেয়ে পড়িমরি করে দৌড়ানোর কিংবা কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছেই আছে। আমাদের দেশের সর্বত্রই আছে। কেরালাতেও আছে।
 

বিষদাঁত

বিকেলের সূর্যটা পশ্চিম আকাশের এক কোণায় গিয়ে আটকে আছে। হরিহর সেই ডুবন্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলেন কখন আলো নিভে আসে। আজকাল সূর্যের আলো তাঁর আর সহ্য হয় না। ভোরের আলো ফোটার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন সাইকেলটা নিয়ে। পাক্কা তিন ক্রোশ সাইকেল চালিয়ে যখন ডাকঘরে পৌঁছন তখন পরিষ্কার ঝকঝকে সকাল। হরিহর তড়িঘড়ি সাইকেল থেকে নেমে, অন্য কেউ তাঁকে লক্ষ্য করার আগেই, সোজা চলে যান পোস্টমাস্টারের জন্য নির্দিষ্ট ঘরে। ষাট ওয়াটের একটা বাল্‌ব লাগানো আধা-অন্ধকার কুঠুরিতে সেই যে তিনি ঢুকে পড়েন, আবার সূর্য পশ্চিমে না ঢলে পড়া পর্যন্ত চৌকাঠ পেরিয়ে বাইরে আসবেন না।

তবে আজ তিনি একটু আগেভাগেই পোস্টঅফিস থেকে বেরিয়েছেন। সূর্যটা সামনের টিলার চূড়া থেকে টুক্‌ পড়ে অদৃশ্য না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত শিমুল গাছটার নিচে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। এই পাহাড়ী পথে, যেখান দিয়ে লোকে সাইকেলে যেতে পারে, সেই পথে লোকজন বিশেষ হেঁটে যাওয়া-আসা করে না। পাহাড়ের গা ঘেঁষে পায়ে চলার রাস্তা করে নিয়েছে। সূর্য ডুবে যাওয়া মাত্রই অন্ধকারের কালো ওড়নাটা যেন পাহাড়ী জঙ্গুলে পথটাকে মূহুর্তেই

আলাপ


দর্শকভর্তি হলঘরের মঞ্চে কবিরা একটার পর একটা কবিতা পড়ে চলেছেন যেন একটু আগেই পৃথিবী জন্ম নিয়েছে। কারণ পৃথিবীতে যে কোন প্রান্তে যখনই কোন কবিতা পড়া হয়, তখনই একটি করে নতুন জগতের জন্ম হয়। আবেশমুগ্ধ শ্রোতাদের মৃদু হাততালি যেন উচ্চারিত কবিতার শব্দগুলোকে সরোদের পাশে তানপুরার মতো সঙ্গত দিচ্ছে  

পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে অর্ক তার ইচ্ছের নিজস্ব জাদুবলে হলঘরের আলোগুলোকে এক নিমেষে নিভিয়ে দিয়ে সভাপতির টেবিলে কয়েকটা রঙিন মোমবাতি জ্বেলে দিল কি আশ্চর্য! মোমবাতির নরম আলোয় কবিতাগুলো যেন তাদের শব্দ-দেহ ছেড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন প্রজাপতি হয়ে ঘরময় উড়ে বেড়াতে থাকলো

অর্ক একা একা বসে প্রজাপতির ওড়াওড়ি দেখছে প্রজাপতির শরীরে কবিতার শব্দগুলো তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। মনে হলো সেই হলঘরে যেন আর কেউ নেই

বিশুদ্ধ বাতাস

হাঁপানির মানুষেরা ভোরে কাক ডাকার অপেক্ষায় থাকে। দু’একটা কাক ডেকেছে কি ডাকে নি তার আগেই সুজাতাদেবী বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। আঃ, কি শান্তি। বাড়িতে পাঁচিল ঘেরা এই এক ফালি জায়গাটুকু আছে বলেই মনে হয় আরো কিছুদিন বাঁচা হবে। সুজাতাদেবী আকাশের দিকে তাকালেন। এবার, দূরে পূর্ব কোণে একটু কমলা রঙের আভাস দেখা দিয়েছে। পাঁচিলের বাইরে জাম গাছে পাখিগুলো সবে আড়মোড়া ভাঙছে হয়তো। 

তখনই সুজাতাদেবীর চোখ গেল বাগানের পাঁচিলঘেঁষা ছোট্ট ঘরটার দিকে। এখনো আলো জ্বলছে কেন? সুজাতাদেবী একেবারে ক্ষেপে গেলেন। লোকটার কি কোনদিন আক্কেল হবে না? নয় নয় করে বছর পাঁচেক পেরিয়ে গেল পেনশন পাচ্ছেন। তবু আধ-পাগলামিটা গেল না।

মহিষাসুর

নতুন দেশে বেড়াতে গিয়ে মানুষ চিনতে হলে অনেকেই স্থানীয় কাগজে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন পড়েনওই বিজ্ঞাপনের ভাষার মধ্যে কিছুটা হলেও খুঁজে পাওয়া যায় সে দেশের মানুষের শিক্ষা-সংস্কৃতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা। সাথে মুখদর্শন হয় সমাজ-চরিত্রের। 

এদেশে, সকালে কাগজ খুললেই একদলা কাদা-পাঁক মুখের উপর ছিটকে এসে পড়ে। কি সেই সমাজ-চিত্র! ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু হয় হিংসা, রক্তপাত আর কিছু নরাধমের ইতরামির সচিত্র বিবরণ পড়ে। কাগজের পাতায় পাতায় শুধু ‘মুঠোভর্তি’ ক্ষমতা দখলের নির্লজ্জ এক সমাজের ছবি। এক-আনা ক্ষমতায় দু’আনা অর্থ হাসিল। সেই দু’আনা অর্থে আট-আনা ক্ষমতা কেনা চাই। শুধু চক্রাকারে বাড়তে থাকে লোভ আর কমতে থাকে জীবনের দাম। কেউ ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে হিসেব বুঝে নিতে চায় আর কেউ উচিত শিক্ষা দেবার জন্য ঘরে লোক ঢুকিয়ে দেবার হুমকি দেয়।

নবদিগন্তের অভিমন্যুরা

লোকে বলে SDF সরকারি নাম নবদিগন্ত। কলকাতা মহানগরীর পূর্ব প্রান্তে দিগন্ত বিস্তৃত এক লবণাক্ত জলাভূমিতে গড়ে উঠেছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সেইসব সফটওয়্যার কারখানায় চাকরি শুরু করে। তারপর “কেরিয়ার” নামের অদৃশ্য সাপ-লুডো খেলায় খেলতে নেমে তারা কেমন থাকে ? পদোন্নতির সিঁড়ি বেয়ে তারা কোথায় একটা যেন পৌঁছতে চায়। এদিকে চাকরির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে জীবনের দিকে ফিরে তাকানোর সময় নেই। দিবারাত্র নিজেদের নিংড়ে দেবার পরে অন্য কোনো সত্তা যে আদৌ বেঁচে আছে, সেটাও বুঝতে পারে না। তবু ভালোবাসা আসে। প্রেম, প্রিয়জন, পরিবার, সবাই অপেক্ষা করে 


পৃথিবীর বহুজাতিক ধনকুবের কোম্পানীগুলো সারা পৃথিবী ছেঁচে তাদের “উন্নত” মস্তিষ্কগুলোকে অঢেল অর্থ দিয়ে কিনে নিয়েছে অর্থ আর স্বাচ্ছন্দ্যের লোভে আমাদের নবীন প্রজন্মের সোনার ছেলেমেয়েরা কি দিনের পর দিন নিজেদের বিক্রি করে চলেছে ? নিজেদের স্বপ্ন, আশা, চাওয়া-পাওয়া সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে সেই মুনাফা তৈরির কারখানার এক একটি নাটবল্টু হয়ে বেঁচে থাকাটাই হয়তো এ যুগে সাফল্যের মাপকাঠি। কে জানে !


নবদিগন্তের আধুনিক টেকনোক্র্যাট শ্রমিকেরা কি কাজ করে ? কেমন থাকে তারা। তারা কি স্বপ্নের সিঁড়ি দেখতে পায় ? দু-হাতে আঁজলা ভরে অর্থ উপার্জন করলেই কি জীবনের সমস্ত সুখ-আনন্দ-ইচ্ছেপূরণ-আকাঙ্খা তাদের কাছে আপনা-আপনি এসে ধরা দেয়

সত্যিই কি তাই ! কি ভাবে ? সেখানে কি জীবনের সমস্ত রঙ ধরা দেয় ? নাকি সেইসব রঙ রামধনুর মতোই ক্ষণস্থায়ী? নাকি মরীচিকার মতো তাদের টেনে নিয়ে যায় গভীর প্রাণহীন এক মরুভূমির কেন্দ্রে ? নাকি চোরাবালিতে পা ডুবে যায় ধীরে ধীরে। নিজেদেরই অজান্তে। হয়তো তারা সেই ভাগ্যান্বেষীর দল, যারা আরো একটু ভালো জীবনের খোঁজে জীবনযুদ্ধে নেমেছে, যারা দুর্ভেদ্য চক্রব্যূহে প্রবেশের কৌশল জানে কিন্তু নিষ্ক্রমণের পথ খুঁজে না পেয়ে নিজেদের অবচেতনেই একসময় অভিমন্যুর চরিত্রে পর্যবসিত হয়।